আর কিছু সময়ের মধ্যেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাবে। বিষয়টি ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হযরত শাহজালালে।

শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘুরে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক টার্মিনালের প্রতিটি প্রবেশ মুখে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। 

এছাড়া পুরো বিমানবন্দর এলাকার প্রতিটি রাস্তায় তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এছাড়া ভিআইপি গেটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়নের সদস্যদের কঠোর দায়িত্ব পালন করতে গেছে দেখা গেছে।

এদিকে ওসমান হাদির মরদেহ বিমানবন্দরের আট নম্বর গেট দিয়ে কথা রয়েছে। এই গেটও রয়েছে সেনাবাহিনী, আর্ম ফোর্স ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ সদস্যদের সড়ক উপস্থিতি।

 বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ৫৮৫ ফ্লাইটে আনা হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ।  ফ্লাইটটি সন্ধ্যা টা ৫:50 মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। 

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আজ সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুরের ঐতিহাসিক দ্য আঙ্গুলিয়া মসজিদে শহীদ ওসমান হাদির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে তার দ্বিতীয় জানাজা আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে এই জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান ওসমান হাদি। ঢাকা মেডিকেল ও এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।